hsc

ভিনেগারের খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ কৌশল

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK

ভিনেগারের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ

ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ উপাদান যা খাদ্যদ্রব্যের স্থায়িত্ব বাড়ায়। এটি খাদ্যের স্বাদ, পুষ্টিগুণ এবং গুণগত মান বজায় রেখে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে।


ভিনেগারের রাসায়নিক গুণ

ভিনেগারের প্রধান উপাদান অ্যাসিটিক অ্যাসিড (Acetic Acid), যা খাদ্য সংরক্ষণে কার্যকর।

  • pH এর ভূমিকা: ভিনেগারের pH নিচু হওয়ায় এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বৃদ্ধি রোধ করে।
  • প্রাকৃতিক সংরক্ষণ: এটি প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং ক্ষতিকর রাসায়নিকের বিকল্প।

সংরক্ষণের পদ্ধতি

  1. পদ্ধতি অনুযায়ী ভিনেগার ব্যবহার:
    • ফল ও সবজি সংরক্ষণে।
    • মাছ ও মাংসের জন্য ম্যারিনেটিং।
  2. পণ্য প্রস্তুতি:
    • খাদ্যদ্রব্য পরিষ্কার করে ছোট টুকরো করা।
    • ভিনেগারে ডুবিয়ে নির্দিষ্ট সময় সংরক্ষণ করা।
  3. বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার:
    • সংরক্ষণ পাত্র বায়ুরোধী হলে খাদ্যের স্থায়িত্ব বাড়ে।

ব্যবহারের উদাহরণ

  • আচার: ফল এবং সবজি সংরক্ষণে।
  • মাছ ও মাংস: ম্যারিনেট করার সময় ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখে।
  • পিকল: দীর্ঘ সময় ধরে সবজি সংরক্ষণে ব্যবহৃত।

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

  • ভিনেগার সংরক্ষিত খাদ্যে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
  • এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

সীমাবদ্ধতা

  • অতিরিক্ত ভিনেগার ব্যবহারে খাদ্যের স্বাদ অত্যধিক টক হতে পারে।
  • সংরক্ষণ পদ্ধতি ভুল হলে খাদ্যের মান নষ্ট হতে পারে।

Content added By
Promotion